ABU JAFAR
About Abu Jafar
Abu Jafar (Visual Artist / Sculptor) is an acclaimed leading British International artist and Philosopher of the arts. He is living and working in the United Kingdom.
Born on March 21, 1968 in a small village called Jhilna, Patuakhali, Bangladesh.
He studied, Philosophy of Arts, at the Open University 1997 UK. Art and Art History, Goldsmith’s College, the University of London, UK in 1991/92. Master Drawing of the human figure - Guildhall University, London in1989/90 UK and Fine arts, painting and drawing at the Institute of Fine Arts, University of Dhaka, Bangladesh 1984/89.
In 2021 become a member of the Visual Artist Association, in 2011 become a Fellow of Digswell Arts Trust, UK, in 2008 become a member of the Sculpture Network and in 2007 an Associates Member of the Royal British Society of Sculptors.
In his words:
“I gather elements through my emotional experiences, then transform them into the art forms, which could incorporate anything and everything that’s around me.” - Abu Jafar
Taking inspiration from psychology, philosophy, classical music as well as day-to-day human existence. By producing art that is far from traditional, He is actively attempting to shatter staid ideas of the past regarding art; his art is the synthesis of the colour, element, and presentation twisted into unusual forms. Most of his large scale Installations involved nature, the public, and the environment. Jafar artworks simplifies our daily lives and the diversity of mankind in his imaginative notion in a way that reflects imaginative power and the ever-changing creative flow of new formative arts.
His sculptures are about celebrating our ever-changing curiosity of mind and symbolises the beauty that keeps us wonder in every step we make and every angle we look. It is the endless journey to find a betterment of our unknown needs. The journey to in which we are going through our hopes and visions each day creating a new chapter and looking forward to seeing something more that is undisclosed. Some of the structures of his sculptures signifies metaphorically the letter H for hope, and the window of the structure signifies a window of opportunity driving endlessly forward.
'Jafar’s grasp of subject power of vision and ability to assimilate may surprise many'
- Writer Anis Choudhury-Dhaka'Abu Jafar is a committed and established artist with a strong exhibition record in the UK. His use of a rich range of media and breadth of concern have earned the artist the wide respect of his peers in London'
'Abu Jafar is a very energetic and gifted artist who has worked in a wide range of media, including installation/ performance as well as sculpture and painting.'
-Marjorie Allthorpe-Guyton, Director of Visual Arts, Arts Council of England
- Isoble Johnston, Curator, Arts Council Collection'His installations are placed in our public spaces - in amongst our everyday lives. Their beauty and lack of pomp garners our curiosity - we approach them openly. Curiosity is the most wonderful of human instincts because it removes us from the momentum of our day lives and it opens our minds. In opening our minds we can explore new ideas, imagine positive change and therefore create our own new sense of coherence. This coherence gives us hope; hope gives us the ability to create our own futures based on the new context we find ourselves in. Abu's work isn't an explanation of hope, it is a gift of hope to those who engage with it'
'Hope can be static and even negative but a positive form of hope perhaps involves the movement of a journey. Abu Jafar's series of installations invites a 'journey' from one to the next, but the viewer can also journey among them, catching the changing reflection of light through the various piece of coloured glasswork, studying the carving lines of patches of colour inscribed on each installation... Making meanings of all this can be seen as a form of fruitful involvement, of hope'
- Anne Cunningham, Chief Executive, The Art House
- Mark Treharne, Author'What impresses a viewer a Jafar’s painting though his meager output not withstanding, is a sense of total dedication that he brings to in his work. One feels that Jafar is pouring out his whole being in his work, which speaks of his deep convictions and his belief in humanity and the power of love to transform the world, Amour Vincent Omni a could as will be a natural theme for Jafar'
- Professor Dr. S. Manzoorul Islam, University of Dhaka'His work is vibrant in colour and depicts the brighter side of lie, paintings of internal love between man and woman as well as humanity and harmony between people. The desire to depict on canvas a world free of suffering and social injustice has been furled by his own experiences and his determination to succeed as an artist has given him a greater insight into the struggle of others'
- Debbie Sellman, Art Critic'The blurring of distinction between figure and ground is a major factor in decorative art. In the classical arabesque rhythm and pattern sweep both terms into an active mixture. In Islamic traditions writing and decorative design become similarly fused, design and sign become one form. Jafar’s work welds together signature and painterly decoration as a ground, which then, (after a while) emerges as a figure working energetically within the environment. This shared emerging figure is endlessly at home because it continually draws its own ground. Rather than basing a landscape on a grid we find its foundation in the movement of a dynamic arabesque in a flourish of signatures'
- Phil King, Artist & Art Critic
শিল্পী আবু জাফর
কাশ ফুলের সারি, বাঁকা নদীর পারে একে বেঁকে সরু মেঠ পথ দু একটা খেজুর গাছ দাড়িয়ে, একটু হাঁটলেই রাস্তার দুপাশে বাবলা গাছের সারি ছোট ছোটো হলুদ ফুলে ছেয়ে আছে, একটু হালকা মিষ্টি গন্ধে মৌমাছিদের গুন গুনে শব্দ। চরই পাখীরা খেলায় মেতে উড়ে আসে আর যায়, টুনটুনিদের গান, সবুজ ধানে ভরা চারি দিক বাতাসের আলতো ছোঁয়াতে ঢেউ খেলা সুখ উল্লাসে মিশে গেছে ঐ আকাশ দূর দিগন্তে। প্রকৃতির অফুরন্ত সুন্দরে বাংলাদেশের একটা গ্রাম ঝিলনা, চারু শিল্পী আবু জাফর ঐ গ্রামেই হাটি হাটি পা বারিয়ে প্রকৃতির অপরূপে মোহিত চোখে দেখা সুন্দরকে কলমের রেখাতে রূপদানে শুরু করে শিল্প যাত্রা মাত্র ৬ বছর বয়েসে। রাফ খাতার উপরে খেজুর গাছ, পালতোলা নৌকা, কাশ ফুল, উরন্ত বক পাখী আর মেঘের ভেলা মাঝ খানে সুন্ধ্রর কোরে “আবু জাফর মুহাম্মাদ সালেহ”। আনআনন্দে ভরা জাফর মুখে মুছকি হাসি।এমন করেই শিল্পী আবু জাফর চারু শিল্প জগতে প্রবেশ করেন। মেয়েদের রুমালে ফুল, টিয়ে পাখী, আর ঘরে বাঁধানো মেয়েদের কারু কাজে হাতের শেলাই এ ছিল জাফরের শিল্প যাত্রার প্রথম দিকের ছবি। বাড়ীতে ছবি আঁকার নিষেধ থাকলেও জাফর লুকিয়ে লুকিয়ে আঁকতে থাকে ছবি অনেকেরই অজান্তে রাতে পড়ার টেবিলে হারিকানের আলোতে। মা এবং ভাই বোনেরা জানলেও বাবা যাতে একেবারেই ছবি আঁকার ব্যাপারটা জানতে নাপারে সে ছিল সবার কাম্য। ক্লাস ৭ এর ছাত্র, হাইস্কুলের কাছেই হিন্দু বাড়ীতে দুর্গা পূজার আয়োজন দুর্গা তৈরি, স্কুলে এসে দুর্গাকে আঁকার প্রচণ্ড ইচ্ছাকে ধরে রাখতে না পেরে টিফিনের বিরতির বেল, সবাই ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর জাফর শুরু করে চক দিয়ে ব্লাকবোর্ডে দুর্গার ছবি আঁকা, আঁকতে আঁকতে কখন যে সময় পরিয়ে গেছে বুঝতেই পারেনি। শিক্ষক আর অন্যান্য ছাত্র সবাই ক্লাসে আসছে। তড়িঘড়ি করে জাফর টেবিলে এসে বসে অনেকটা ভয়ে আর ছবি আঁকার আনন্দে ব্লাকবোর্ডের দিকে তাকিয়ে ভাবছে কি হবে। শিক্ষক ব্লাকবোর্ডের ছবি দেখে অনেকটা থমকে ছাত্রদেরকে কে এঁকেছে? সবাই চুপ। অনেকটা ভয়ে জাফর দাড়িয়ে জি আমি আকেছি। এর পরে শিক্ষক তাকে দুইহাত ধরে বেশ করে লাঠি মেরে বল্ল আর যেন কোন দিন এরকম ছবি আঁকা না হয়। প্রচণ্ড ব্যাথা নিয়ে জাফর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল যখনই সময় পাবে ঐ ব্লাকবোর্ডে ছবি আঁকবে। সেদিন থেকে শুরু হয় জাফরের নতুন যাত্রা সম্বত সেইদিনের ঐ প্রতিজ্ঞাতেই আজকে শিল্পী আবু জাফরের বিচারন শিল্প জগতে। এর পরে ক্রমাগত জাফর আঁকতে থাকে ছবি স্কুলের নবম দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের বিজ্ঞানের ছবির খাতা আর বিভিন্ন সময় পাখী আর পালতোলা নৌকার ছবি। হাইস্কুল শেষ করে জাফর বেরাতে আশে ঢাকা চাচার বাসা। তেজকুনি পাড়া, ১৯৮৪ সনে। প্রতি দিন ঘরথেকে বের হয় জাফর আর্ট কলেজের জন্য, ভাল কোন তথ্য নাথাকায় শহরের অলি গলি সকাল থেকে সন্ধ্যা দিনের পরে দিন খুঁজেও যখন খুঁজে পাচ্ছিলনা চারুকলা একদিন অনেক হাঁটাহাঁটির পরে রমনা পার্কে দেখল অনেক লোক ছবি আঁকছে। খুশীতে আত্মহারা বেশ ঘুরে ঘুরে দেখার পর একজনের ছবি আঁকা বেশ করে দেখতে দেখতে প্রায় সন্ধ্যা। সবাই চলে যাবে এমন সময় জাফর একজন কে বল্ল আপনি কি শিল্পী সে হেসে বল্ল নারে পাগল আমি মাত্র প্রথম বর্ষের ছাত্র আমার নাম আজাদ। তুমি কি চারুকলাতে পড়তে চাইছ? মাথা নেড়ে হাঁ । আপনি যদি আমাকে আপনার ঠিকানা দেন তাহলে বেশ খুশী হব। আমি আপনার সাথে দেখা করবো আর ছবি আঁকা শিখব।সেই হল প্রথম ছবি আঁকা কারো সাথে পরিচয়। এরপরে নিয়মিত জাফর আজাদের সাথে দেখা করত চারুকলাতে ভর্তি প্রস্তুতি সে সময় অশোক কর্মকারের সাথে পরিচয় এবং তার কাছে শিখতে থাখেন ছবি আঁকা। চারুকলাতে ভর্তি এবারে শুরু হল দিন রাত ড্রয়িং করার পালা। হোটেল সোনারগাঁ ঢাকা, শিল্পী কালিদাস কর্মকারের প্রদর্শনী। চারুকলার ক্লাসমেডদের সাথে একটা ঝোলা ব্যাগ ভিতরে স্কেচ বই। কালিদাস ডেকে বলল দেখি কেমন ড্রইং করো তুমি? এই ১০টা কোরে আঁকি প্রতিদিন। তখন কালিদাস বোল্লেন ১০টা ছবি এঁকে শিল্পী হতে পারবেনা আমি যখন ছাত্র ছিলাম ৭ দিনে ঐ স্কেচ বই শেষ কোরে ফেলতাম। এবারে জাফর প্রতিজ্ঞা করলো ৭ দিন নয় ১ রাতেই শেষ করব। হোলো নতুন অঙ্গীকার চারুকলা থেকে বাসা, রাতের খাবার শেষে প্রতিদিন কমলাপুর ট্রেন স্টেশন ড্রইং সরা রাত।১৯৮৭ শিতের বিকেল, সোনালী রঙ্গের আলতো ছোঁয়াতে নারকেল গাছের চূড়া নীল আকাশ,চারুকলার বামদিকের প্রবেশ দারে জাফর আর নাইমা রমনা পার্ক থেকে স্কেস শেষ। নাইমা জাফরকে উদ্দিশ্য করে দাদা তুই কি বিদেশে যাবি? জাফর একটু থমকে গিয়ে নাইমার দিকে তাকিয়ে – একটু মুচকি হাসিতে ” পাগলী সে ভাগ্য নিয়ে আমি জন্মিনি। বিদেশ – ওটা সবার জন্য নয়। ওটা উচ্চ বিত্তদের ভাবনা, আমার মত নিম্ন মধ্য বিত্ত পরিবারের ছেলেদের ভাবনাটাই একটা যেন আমবস্যা রাতে নতুন এক চাঁদের মত।এসময় থেকেই জাফর আধবিমূর্ত ছবি আঁকা শুরু করেন, যার বিষয় বস্তু ছিল বেশির ভাগই নারী মুক্তি এবং নারী বেধনা নিয়ে। ১৯৮৯ সনে শিল্পী জাফর লায়ন্স ক্লাবের সহযোগিতাতে একক প্রদর্শনী করতে চলে আসেন বারমিংহাম ইউকে। দীর্ঘ ৬ মাস থেকে আবার চলে জান বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ফিরে শিল্পী জাফর ব্রিটিশ কাউন্সিলে প্রথম বাংলাদেশে একক প্রদর্শনী করে নতুন মাত্রাতে ছবি আঁকতে থাকেন এর পরে ১৯৯০ সালে চলে আসেন ইউকে শিল্পকলাকে নতুন করে আবিষ্কার করার লক্ষ্য। শুরু হয় প্রবাসী জীবন। ফেলে আসা বাংলাদেশ আর নতুন দেশের নতুন প্রকৃতি শিল্পমনে প্রচণ্ড তোলপাড়। পেইন্টিং থেকে শুরু করে কাজ করছেন সব জানা মাধ্যমে। কখনও ড্রয়িং, পেইন্টিং আবার স্কাল্পচার। Goldsmiths কলেজে থাকা অবস্থাতেই তিনি নতুন করে ছবি আঁকার ইচ্ছাতে শুরু কোরে “ণীল রঙ্গের ণীচে” এবং আরও অনেক নতুন ছবি এ গুলো ছিল অনেকটা গল্পের আদলে। গল্পের যেমন শেষ নেই অনুভূতি নতুন রূপের এ শিল্পকর্মও ছিল অনেকটা ওরকম। বছরের পর বছর শিল্পী জাফর কাজ করতে থাকেন এবং গল্প হারিয়ে নতুন গল্পের রূপ।বিগত প্রায় দুই দশক ধরে শিল্পী জাফর বিলেতে বহু আর্ট গ্যালারি আর স্কাল্পচার পার্কে প্রদর্শনী কোরে চলছেন। হাজার হাজার লোক দেখছে তাঁর চিত্র কর্ম। এই সফলতার পিছনে রয়েছে ত্যাগ আর প্রচণ্ড শিল্প সাধনা। ২০০৬ সাল থেকে জাফর নতুন ফর্মে স্কাল্পচার সৃষ্টির মাঝে আত্ম প্রকাশ করে এবং সেই থেকে ঐ স্কাল্পচার মূলধারাতে কেন্দ্র করে নির্মাণ করছে নতুন কাজ ” Hope”। শিল্পী জাফরের ১৯৯৫ সালে প্রথম স্টুডিও নেন brookhall Village, Langkeshire UK. এখান থেকেই তাঁর শিল্পকলার আর এক নতুন রূপ লাভ করে। বরফ দিয়ে নির্মাণ করেন তাঁর প্রথম সময় ভিত্তিক শিল্পকর্ম। আর বিশাল বিশাল কাপড়ে পেইন্টিং এর মধ্য রয়ছে Midnight Dream, Mist of Twilight, Dancing through night and day, On My Way, Under the sea এবং আরও অনেক।
১৯৯৭ সালে জাফর ফিরে আসেন লন্ডনে নতুন স্টুডিও কারপেন্তারস রোড, এরপরে ১৯৯৯ শালে ট্রিনিটি বয় ওয়রফ। এরপরে ২০০৮ সালে আবার জাফর স্টুডিও নেন ওয়েকফিল্ড সেখান থেকে ২০১১তে চলে আসেন লেচ্বরথ গার্ডেন সিটি। শিল্পী আবু জাফর ২০০৭ সালে রয়্যাল সোসাইটি অফ ব্রিটিশ স্কাল্পচার এর মেম্বরসিপ লাভ করেন। গত ২8 বছর ধরে শিল্পী জাফর প্রবাশে বসবাস করছেন।Twitter: @abujafar
Instagram: @_abujafarFacebook: /Abu-Jafar
All the informations & web pages of this web are Copyright by:
©Abu Jafar/DACS UK